দেশ স্বাধীন হওয়ার ০৯ বছর পরে ১৯৫৬ সালে দেশের সমস্ত রাজ্যকে ভাষার আধারে পুনর্গঠন করা হয় | ভাষার আধারে পুনর্গঠন এর পরবর্তী লোকসভা নির্বাচন ছিল ১৯৫৭ সালে | সেই সময় নেহেরু ছিল দেশের থেকেও বড় | কংগ্রেস হোক বা বিরোধী পার্টি, সমর্থক হোক বা বিরোধী, কেউই নেহেরুর সমকক্ষ ছিলনা | সংবিধানের বাধ্যবাধকতা মেনে নামমাত্র বিরোধী পার্টি ছিল | সমর্থক বিরোধী নির্বিশেষে নেহেরুর নামের আগে “যশস্বী” বা “তেজস্বী” লাগাতে কেউ ভুলতো না | তবে রাজনৈতিক সভার মঞ্চ থেকে সমস্ত রাজনৈতিক দলই স্বাধীনতা সংগ্রামে তাদের অবদানের বিষয়ে দেশের জনগণকে বলতেও ভুলত না|
এরকমই এক সময়ে, ১৯৫৭ সালের সাধারণ নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের মথুরা লোকসভা সিটে কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন চৌধুরীর দিগম্বর সিং| অটল বিহারী বাজপেয়ী ছিলেন জনসংঘের প্রার্থী| যদিও তিনি সেই সময়ে তিনটে লোকসভা সিট থেকে ভোটে লড়েছিলেন – লখনৌ মাথুরা বলরামপুর| কিন্তু তিনিও সেই সময় কংগ্রেসের দুশ্চিন্তার কোন কারণ ছিলেন না| কংগ্রেসের রাস্তার কাঁটা ছিলেন রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং| তিনি নির্দলীয় প্রার্থী হিসেবে মথুরা থেকে ভোটে লড়েছিলেন এবং জিতেও ছিলেন | আজ মোদীজি যাঁর নামে একটা ইউনিভার্সিটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন |
নির্বাচনের প্রচার চলাকালীন রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং কংগ্রেসের প্রার্থী চৌধুরী দিগম্বর সিংয়ের বাড়ি পৌঁছলেন | নিজের প্রাইভেট কার থেকে নেমে চৌধুরী দিগম্বর সিংকে নমস্কার জানিয়ে বললেন “আজ আমি যেখানে প্রচার করতে যাচ্ছি সেখানে অনেক বালি আমার কার ওখানে চলবে না তোমার জিপ টা লাগবে | তুমি প্রচারে গেলে আমার কার নিয়ে চলে যেও | আমায় তোমার জিপ টা দাও |” চৌধুরী দিগম্বর সিং ও তার জিপ দিয়ে দিলেন তাঁরই বিরুদ্ধে প্রচার করার জন্য | এটাকে রাজনৈতিক শিষ্টাচার বলুন বা সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাই বলুন, সেই সময়কার রাজনৈতিক নেতাদের এই শিষ্টাচার আজকাল কল্পনাও করা যায় না| যাই হোক ভোটে জিতেছিলেন রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং, দ্বিতীয় হয়েছিলেন চৌধুরী দিগম্বর সিং আর অটল বিহারি বাজপেয়ি চতুর্থ হয়েছিলেন| তার জামানত জব্দ হয়েছিল|
রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং এর জন্ম হয়েছিল ০১ লা ডিসেম্বর ১৮৮৬ সালে| হাথরস রাজের বৃন্দাবনের বিশাল মহলে মহেন্দ্র প্রতাপ এর ছোটবেলা কাটে | পরবর্তীকালে ঝিন্দের রাজকুমারীর সাথে ওনার বিবাহ হয় | দুটো ট্রেন রিজার্ভ করে বরযাত্রী গিয়েছিল | রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিংয়ের প্রতিপত্তি এতটাই বড় ছিল যে পরবর্তীকালে যখনই তিনি শ্বশুরবাড়ি গেছেন তখনই ঝিন্দের রেলওয়ে স্টেশনে ২১ তোপের স্যালুট জানানো হতো তাঁকে | ১৯০৯ সালে ওনার কন্যাসন্তান জন্ম নেয় | নাম রাখেন ভক্তি | এই বছরেই উনি বৃন্দাবনে একটি মহাবিদ্যালয়ের স্থাপনা করেন | নাম রাখেন প্রেম মহাবিদ্যালয় | তৎকালীন ভারতের একমদ্বিতীয় প্রযুক্তিশিক্ষার প্রতিষ্ঠান এটাই ছিল | এই মহাবিদ্যালয়ের জন্য তিনি পাঁচটা গ্রাম, বৃন্দাবনের রাজমহল ও প্রচুর ধনরাশি দান করেন | ১৯১৩ সালে ওনার পুত্রসন্তানের জন্ম হয় | নাম রাখেন প্রেম | রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিংয়ের মনে ভারতকে স্বাধীন করানোর জন্য কিছু করার ইচ্ছা ছিল প্রবল | ১৯১৪ সালের শেষের দিকে, ০৬ বছরের কন্যাসন্তান আর ০২ বছরের পুত্রসন্তানকে পিছনে ফেলে রেখে ভারতমাতা কে স্বাধীন করানোর দায়িত্ব মাথায় তুলে দেশ ছাড়েন মহেন্দ্র প্রতাপ সিং | কিন্তু এই কারণেই কি তার নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনা হলো? না কি একাধারে হাথরসের এর রাজা, উচ্চশিক্ষিত, সমাজসেবক, কবি, লেখক, সাংবাদিক, প্রেম মহাবিদ্যালয়ের সংস্থাপক ছিলেন বলেই তাঁর নামে নতুন করে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হলো? না এদের কোনোটিই নয় | যেটা আসল কারণ সেটা আমাদের দেশের বামপন্থী ঐতিহাসিকরা মোঘল বন্দনা করতে গিয়ে হারিয়ে ফেলেছে |
১৯১৫ সালের ২৯ শে অক্টোবর আমাদের দেশের স্বাধীন সরকারের স্থাপনা হয় আফগানিস্থানে | ভিন্ন মতানুসারে সেই তারিখ ছিল ০১ লা ডিসেম্বর ১৯১৫ | সেই সরকারের নাম ছিল আজাদ হিন্দ সরকার | রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং ছিলেন স্বাধীন ভারতের প্রথম নির্বাসিত সরকারের রাষ্ট্রপতি | আফঘানিস্তানের কাবুলে সেই সময় আমির ছিলেন হাবিবুল্লাহ | তাঁর সমর্থনে এই সরকার গঠিত হয় | এই সরকারের গঠন হওয়ার পরই বৃটিশের কুদৃষ্টিতে পরেন রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ | আজাদ হিন্দ সরকারের সেনা বৃটিশের রাতের ঘুম কেড়ে নেয় |
১৯০০ সালের শেষের দিকেই দাদাভাই নওরোজি, বাল গঙ্গাধর তিলক, মহারাজা বড়োদা এবং বিপিন চন্দ্র পালের দ্বারা প্রভাবিত রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং অহিংস আন্দোলন দিয়ে দেশ স্বাধীন করার চেষ্টায় লেগে পড়েন । তিনি তাঁর রাজ্যে বিদেশি পোশাক পোড়ানোর আন্দোলন শুরু করেন। মাতৃভূমিকে অহিংস আন্দোলনের দ্বারা স্বাধীন করার বহু চেষ্টা করার পর, ২০শে ডিসেম্বর ১৯১৪, ২৮ বছর বয়সে রাজা মহেন্দ্রপ্রতাপ তৃতীয়বারের মতো ভারত ত্যাগ করেন, অন্যান্য দেশের সমর্থন জুটিয়ে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের কবল থেকে ভারতকে মুক্ত করার ইচ্ছা নিয়ে।
১৯১৫ সালের জানুয়ারিতে, সুইজারল্যান্ডে তার উপস্থিতি সম্পর্কে জানার পরে, নবপ্রতিষ্ঠিত বার্লিন কমিটির (ডয়চে ভেরিন ডার ফ্রায়েন্ড ইন্ডিয়ান) বীরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় ওরফে “চট্টো” জার্মান বিদেশ মন্ত্রণালয়ের ভন জিমারম্যানকে অনুরোধ করেছিলেন প্রতাপকে বার্লিনে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য। ইতিমধ্যেই চট্টো পার্সি বিপ্লবী দাদা চানজি কেরাস্পের নেতৃত্বে আফগানিস্তানে প্রথম মিশন পাঠিয়েছিলেন। সেই সময় জার্মানির শাসক ছিলেন কাইজার | শ্যামজি কৃষ্ণবর্মা এবং লালা হরদয়ালের কাছ থেকে চট্টোর কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পর, রাজা মহেন্দ্রপ্রতাপ ব্যক্তিগতভাবে কাইজার উইলহেলম দ্বিতীয় -এর সাথে দেখা করার জন্য জোর দেন; কাইজারও ওনার সাথে দেখা করতে উত্সাহী ছিলেন | সেই কথা চট্টো জেনিভাতে এসে রাজা মহেন্দ্রপ্রতাপকে জানান আর তাঁরা দুজনে একসাথে বার্লিনে যান। লালা হরদয়ালও তাদের সাথে ছিলেন। কাইজারকে ফুলকিয়ান রাজ্যের (ঝিন্দ, মালাউধ, পাতিয়ালা এবং নাভা) কৌশলগত অবস্থান সম্পর্কে অবহিত করান এবং আফগান সীমান্ত দিয়ে ভারত আক্রমণ করা হলে যে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে তার বিষয়ে আলোচনা করেন | তিনি কাইজার এর কাছে আজাদ হিন্দ সরকার গঠন করার অনুমতি চান | কাইজার আফঘানিস্তানের আমিরের উদ্দ্যেশ্যে একটা চিঠি লেখেন আর রাজা মহেন্দ্র প্রতাপকে অনেক ধনরাশি দিয়ে তাঁর উদ্দেশ্যকে সফল করতে সাহায্য করেন | প্রতাপের ইচ্ছানুযায়ী, তাকে সেনাবাহিনীর নীতি ও কার্যকারিতা সম্পর্কে প্রথম জ্ঞান অর্জনের জন্য পোল্যান্ড সীমান্তের কাছে একটি সামরিক ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৯১৫ সালের ১০ই এপ্রিল জার্মান কূটনীতিক ওয়ার্নার অটো ভন হেন্টিগ, মৌলভী বরকতউল্লাহ এবং আরও কয়েকজন সদস্যের সাথে কাইজারের চিঠি নিয়ে প্রতাপ বার্লিন ত্যাগ করেন।
আফঘানিস্তানে যাওয়ার জন্য ইন্দো-জার্মান মিশন বানানো হয় | যাতে জার্মানির অনেক সরকারী কর্মীও যুক্ত ছিলেন | কিন্তু জার্মানি থেকে আফঘানিস্তানে গিয়ে সেখানে সরকার স্থাপনা করার কাজ সহজ ছিল না | রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ অস্ট্রেলিয়া, হাঙ্গেরি, বুলগেরিয়া, তুর্কি হয়ে আফঘানিস্তানে পৌঁছন | যাওয়ার পথে, তুরস্কের সুলতান ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর জামাই এনভার পাশার সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন, যিনি তাদের গাইড করার জন্য একজন বিশ্বস্ত সামরিক অফিসার নিয়োগ করেছিলেন। রউফ বে ইস্পাহানে ২০০০ সৈন্যের একটি দল রাজা মহেন্দ্রর সাথে মেলে | রাজা মহেন্দ্রপ্রতাপ তাদের নিয়ে ০২ রা অক্টোবর কাবুল পৌঁছন | আফঘানিস্তানের তত্কালীন আমির হাবিবুল্লাহ সরকার গঠনে সহমতি দেন | জার্মানি, আফঘানিস্তান আর সেই সময় ইংল্যান্ডের সাথে যে সমস্ত দেশের শত্রুতা ছিল সেই সব দেশ এই সরকারকে মান্যতাও প্রদান করে | এরপর এই সরকার আধিকারিকভাবে অন্যান্য দেশের সরকারের সাথে ভারত সরকার হিসাবে সম্পর্ক স্থাপনও করে | রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সেই সময় রাশিয়াও গেছিলেন | আর সেখানে লেনিনের সাথে দেখা করে সমর্থন আর সাহায্যের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন | কিন্তু বামপন্থীদের এই কুলগুরু সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দেন | তারপর রাজা মহেন্দ্র তুর্কি আর জার্মানির জেলে বন্দী ভারতীয় যারা ব্রিটিশদের হয়ে লড়াই করতে গিয়ে যুদ্ধবন্দী হয়েছিল, তাদেরকে মুক্ত করান | আর তাদের নিয়ে সেনা গঠন করেন | সেই সেনার নাম ছিল আজাদ হিন্দ সেনা | ভারত-আফঘানিস্তান সীমান্তের বেশ কিছু এলাকা ব্রিটিশদের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল আজাদ হিন্দ সরকারের সেনা |
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর, জার্মানি আর তুর্কি যুদ্ধে বিদ্ধস্ত হয়ে যায় | আজাদ হিন্দ সেনার ওপরেও তার প্রভাব পড়ে | আফঘানিস্তানের আমিরও সেই সময় আজাদ হিন্দ সরকারের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে | সুযোগ বুঝে আজাদ হিন্দ সরকারকে আক্রমন করে দেয় ব্রিটিশ | রাজা মহেন্দ্র আফঘানিস্তান ছাড়তে বাধ্য হন | আফঘানিস্তান ছেড়ে তিনি পৌঁছান জাপানে | সেটা ছিল ১৯২৫ সাল | জাপানে সেই সময় ভারতের দুই বিপ্লবী রাসবিহারী বোস আর আনন্দমোহন সহায় সশস্ত্র সংগ্রামের দ্বারা স্বাধীনতা লাভের প্রয়াস করছিলেন | জাপানের ওসাকা তে ওই দুই বিপ্লবীর সাথে মিটিং হয় রাজা মহেন্দ্র প্রতাপের | ভবিষ্যতের সমস্তরকম প্ল্যান তিনি ওই দুই বিপ্লবীকে বলেন আর তাঁদের সাথে আবার কাজ শুরু করেন | কিছুদিনের মধ্যেই রাজা মহেন্দ্র প্রতাপের বর্তমান অবস্থানের বিষয়ে জানতে পেরে ব্রিটিশ সরকার আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করে জাপান সরকারের ওপর | অবশেষে জাপান সরকার রাজা মহেন্দ্র প্রতাপকে জাপান ছেড়ে দিতে বলে | তিনি কিছুদিনের মধ্যে জাপান ছেড়ে তিব্বতে যান | সেখানে দলাই লামার সাথে দেখা করেন | তিব্বত থেকে তিনি আমেরিকা চলে যান | আর পরবর্তী বেশ কিছু সময় ওখানেই থাকেন | ১৯৩২ সালে সুইস ডাক্তার আর নোবেল পুরস্কার কমিটির সদস্য এন.এ নিলসন রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ কে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য নমিনেট করেছিলেন |
১৯৪৬ সালে, যখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইংল্যান্ডের অবস্থা নড়বড়ে, আর ভারতের স্বাধীনতার প্রাপ্তিরও খুব বেশি দিন বাকি নেই, সেই সময় তিনি দেশে ফেরেন | ওনার ভারতে ফেরত আসার কথা জানতে পেরে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের মেয়ে মনিবেন প্যাটেল ওনাকে স্বাগত জানাতে কোলকাতা এয়ারপোর্ট গেছিলেন | কিন্তু আমাদের দেশের মজহবি ঐতিহাসিকরা এই মহান বিপ্লবী, মহাত্যাগী রাজা, আজাদ হিন্দ সরকারের প্রথম রাষ্ট্রপতি রাজা মহেন্দ্র প্রতাপের নামটাও আমাদের জানতে দেয় নি | যে রাজা আলীগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটির জন্য জমি দান করেছিলেন, সেই রাজার নামে একটা ফলকও AMU তে নেই | ওনাকে সম্মান জানানোর প্রচেষ্টাকেও নাকচ করে দেয় AMU-র সঞ্চালক মন্ডল | এই মহান ব্যক্তিত্ব, যিনি রাজপাট ছেড়ে, সংসার ছেড়ে, নিজের ধন সম্পত্তি দিয়ে, সারা দুনিয়াতে লুকিয়ে বেরিয়েছেন দেশকে স্বাধীন করবেন বলে সেই মহান বিপ্লবী, ভারত মাতার সুসন্তানকে আমরা চিনিই না | আমাদের ঐতিহাসিক আর চাটুকার কবি সাহিত্যিকরা আমাদের শুনিয়েছে “দে দি হামে আজাদী বিনা খড়গ বিনা ঢাল/ সাবরমতিকে সন্ত তুনে কর দিয়া কামাল” |
২৯শে এপ্রিল ১৯৭৯ -এ এই মহান বিপ্লবী ইহলোক ত্যাগ করেন | আর তার সাথেই তাঁর নাম মুছে যায় আমাদের দেশের ইতিহাস থেকে | জহরলাল আর তার রাজনৈতিক দেহরক্ষী এই দেশের কাকা আর বাবা সেজে বসে পড়ে | ২৯শে অক্টোবর ১৯১৫ আমাদের দেশের ইতিহাসের একটা উজ্জ্বল অধ্যায় হওয়ার কথা ছিল | কিন্তু আমাদের দেশের ইতিহাসের পাঠ্যপুস্তকের একটা পাতার কোনেও তার জায়গা হয় না | মার্চ ২০২১ এ, উত্তরপ্রদেশের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ওনার নামে একটা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনা করার সিদ্ধান্ত নেন | আজ (১৪ই সেপ্টেম্বর ২০২১) তার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনা করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী | আজ স্বাধীনতার 74 বছর পরে একজন হারিয়ে যাওয়া যোদ্ধা তাঁর যোগ্য সম্মান পাবেন, তাঁর প্রতি এই অবহেলার কিছুটা হলেও অবসান হবে |